কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২৩

শহিদুল্লাহ কায়সার :

জেলাব্যাপী ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। ঢাকায় না গিয়েও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। গতকাল রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ছাড়াও গতকাল ১ আগস্ট চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে ৩ ডেঙ্গু রোগি শনাক্ত করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালটির এক কর্মকর্তার স্ত্রী।

গতকালও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ২জন রোগি ভর্তি হয়েছেন। যাঁরা ঢাকা না গেলেও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে অবস্থানকালীনই তাঁরা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথমদিকে শরীরে জ¦রের সাথে বমি হওয়ায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষার পরই তাঁদের দেহে ডেঙ্গু ভাইরাস পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু রোগ বিষয়ে কক্সবাজারবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, জেলায় দিন দিন ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা কমে আসছে। যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশই বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন। গত তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন ৭ জন, ২য় দিন ৪ জন এবং গতকাল ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসারতদের মধ্যে ৮০ ভাগ বাইরে থেকে রোগ বহন করে কক্সবাজার এসেছে বলেও জানান তিনি।

সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্তকরণে কিটের সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কিট রয়েছে। চিকিৎসাধীনদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়ান ক্য রাখাইন (২৬) এর এক স্বজন জানিয়েছেন, ৪দিন আগে ওয়ান ক্য রাখাইনের শরীরে জ¦র অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি বমি হয়। আজ (গতকাল ১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। দুপুর ১ টার দিকে তাকে ডেঙ্গু কর্নারে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোস্তারিয়াল রাজির মা জানিয়েছেন, তাঁর সন্তান ঢাকা নটরডেম কলেজের ছাত্র। চলতি বছর প্রকাশিত এইচ.এস.সি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ অর্জন করে পাশ করেছে।

গত সোমবার (৩০ জুলাই) বাবাকে ফোনে জানায় তাঁর শরীরে জ¦র এসেছে। মঙ্গলবারই তাঁকে কক্সবাজারে এনে পরীক্ষা করা হলে শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
মোস্তারিয়াল রাজির আরেক ভাই ঢাকা তিতুমির কলেজের ছাত্র মুশফিক আল জামিও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।